বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > আশা কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা কেন্দ্রের, করোনা রোগীদের উপর নজরদারির দায়িত্ব

আশা কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা কেন্দ্রের, করোনা রোগীদের উপর নজরদারির দায়িত্ব

আশা কর্মীদের করোনা রোগীদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

এবার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতিতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই গ্রামে গ্রামে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় বাড়তি নজরদারি শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে মহামারি ঠেকাতে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা করেই মহামারীর শেষ করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই এবার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতিতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। যা কোভিড পরিস্থিতিতে সাফল্য নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়?‌ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি গ্রামের স্বচ্ছতা কমিটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আশা কর্মীদের করোনা রোগীদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় কোনও লক্ষণের হদিশ পেলেই আশা কর্মীদের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকী উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের গ্রামীণ পরিকাঠামোয় টেলিকনসাল্টেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এভাবেই একটা তথ্যের ব্যাঙ্ক তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের নাকি তৃতীয় ঢেউও আসবে। তার আগে এই প্রস্তুতি করে রাখতে হবে।

এই নির্দেশিকায় কো–মর্বিডিটিযুক্তদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রত্যেক গ্রামে যাতে পালস অক্সিমিটার থাকে, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকলে, তাঁর কাছে প্যারাসিটামল, আইভারমেক্টিন, কাফসিরাপ, মাল্টিভিটামিন পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী লাগাতার তিনদিন জ্বর না থাকলে হোম আইসোলেশনে থাকা কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী ১০ দিন পরই আইসোলেশন থেকে বেরতে পারেন বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। হোম আইসোলেশনের পর করোনা আক্রান্তকে পরীক্ষাও করাতে হবে না। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী আশা কর্মীদের কাজ করতে হবে।

বন্ধ করুন