‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসবে’র অংশ হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পতাকা উত্তোলন না করেই ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতি মন্ত্রী সুভাষ সরকার। সেখানে আজ পতাকা উত্তোলনের কথা থাকলেও রাজ্যের তরফে কোনও কিছুই জানানো হয়নি জেলকে। যারফলে সেখানে পতাকা উত্তোলনের কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আর তার ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ফিরে যেতে হয়। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে, ‘রাজ্য সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করল’ বলেও কটাক্ষ করেন মন্ত্রী।
পতাকা উত্তোলন করতে না পারায় এদিন মন্ত্রী রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিশেষ জায়গাগুলিতে পতাকা উত্তোলন করছেন বিভিন্ন মন্ত্রীরা। স্বাধীনতার ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই এখানেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল। কেন্দ্র থেকে আমাদের এ কথা জানানো হয়েছিল। তারপরে আমি মুখ্যসচিব এবং শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়ে জানাই। মুখ্যসচিবের সঙ্গে ফোনেও কথা হয়েছে।’ কিন্তু তারপরও রাজ্য সরকার স্বাধীনতা দিবস নিয়ে নিরুত্তাপ বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এই সংশোধনাগারে রাজ্যের অনুমোদন না আসার ফলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা সম্ভব হল না বলেও অভিযোগ এনেছেন মন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘এই ঘটনা অতি দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকার দেশের স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়েও নির্বিকার। মেদিনীপুরের বাসিন্দারা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে যে গর্ববোধ করে সেই গর্ববোধের মূলে আঘাত করল রাজ্য সরকার।’ রাজ্য সরকার স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করল বলেও কটাক্ষ করেন সুভাষ বাবু। এই নিয়ে অবশ্য কোনও উত্তর মেলেনি মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে।