একশো দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। এনিয়ে বহু পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানের। সেরকমই পূর্ব বর্ধমানের ৬টি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলি শুধরে নিয়ে পঞ্চায়েতগুলিকে ঠিকমতো কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন দফতর। সেই পরামর্শ মেনে পঞ্চায়েত গুলিতে আদৌও কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য ওই সমস্ত পঞ্চায়েতে অনুসন্ধানে বেড়ালেন কেন্দ্রীয় ওই মন্ত্রকের তিনজন আধিকারিক।
সূত্র খবরে জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর ও এড়াল, খণ্ডঘোষের শশঙ্গা, রায়না ১ ব্লকের নতু ও হিজলনা এবং ভাতারের এরুয়ার পঞ্চায়েতে বহু অনিয়ম খুঁজে পেয়েছিল একশো দিনের প্রকল্পের 'ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিম' বা এনএলএম। এছাড়াও এই দল হুগলি এবং দার্জিলিঙের বিভিন্ন পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে ফিরে গিয়েছিল। সেই সময় তাদের নজরে এসেছিল একশো দিনের প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের গরমিল। পরে ফিরে গিয়ে রিপোর্ট দিয়ে ওই দল পঞ্চায়েতগুলিকে ভুল শুধরে নেওয়ার পাশাপাশি গরমিলের ফলে যে সমস্ত বাড়তি টাকা দেখা রয়েছে সেই সমস্ত টাকা পঞ্চায়েতকে ফিরিয়ে দিতে বলেছিল। তবে এবার আধিকারিকরা দেখতে এসেছেন প্রথমবারের পরামর্শের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সে সমস্ত খতিয়ে দেখার পরেই রিপোর্ট দেবেন ওই আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বৃক্ষরোপণের কাজেও অনিয়ম খুঁজে পেয়েছিলেন আধিকারিকরা। অনেক গাছ খুঁজে না পাওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তারা। বেশকিছু পঞ্চায়েতের তরফে নার্সারি থেকে গাছ এনে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় আধিকারিকদের। এর পাশাপাশি পুকুর সংস্কার নিয়েও দুর্নীতি ধরা পড়েছে। তার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এদিন খতিয়ে দেখে এই দল।