প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় যতদিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী ছিলেন ততদিন পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রের শংসাপত্র। এখন তিনি নেই। এবার পঞ্চায়েতের হাল–হকিকত দেখতে রাজ্যে এলো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। বাংলার ১৬টি জেলায় একশো দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ সরেজমিনে দেখতে এসেছেন তাঁরা। মোট আটটি দলে ১৬ জন প্রতিনিধি এসেছেন। তাঁদের মধ্যে দুই সদস্য পূর্ব বর্ধমানের সার্কিট হাউসে পৌঁছে জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) প্রিয়াঙ্কা সিংলার সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘ওনারা এসে আমাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন।’
এতদিন দেখা গিয়েছে, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে রয়েছে। সে কথা স্বয়ং জানিয়েছে কেন্দ্রের শংসাপত্র। তাহলে আবার কেন্দ্রীয় দল পাঠানো কেন? প্রশাসন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আসতেই পারেন। এই জেলা আবাস যোজনায় চলতি বছরে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে এবং শেষ পাঁচ বছরের হিসেবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। সুতরাং নথি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিনিধিদল বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে দেখতে চান। সেই এলাকাগুলি হল— পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২, গলসি ২, মঙ্গলকোট এবং খণ্ডঘোষ ব্লক। এই এলাকাগুলিতে গিয়ে পঞ্চায়েতের কাজ খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। জেলা প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতা করবে। যদিও অনেকে মনে করছেন একুশের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
জানা গিয়েছে, তিনটে পঞ্চায়েতকে কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা বেছে নিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার খণ্ডঘোষেরই সদর পঞ্চায়েত এবং বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতে যাওয়ার কথা তাঁদের। বিডিওদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তাঁরা। পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, স্থানীয় সদস্য, গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী থেকে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা। তাঁদের থেকে নানা মতামত নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।