আবাস যোজনায় রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সেইমতোই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবাস প্লাস যোজনা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বুধবার তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতেই কেন্দ্রীয় টিমকে পাঠিয়ে আবাস যোজনা তদারকি করা হচ্ছে।’
মালদায় সভায় যোগ দিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় দল কোনও দুর্নীতি খুঁজে পাবে না। বরং মানুষ কোথাও নদী ভাঙন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, আবার কোথাও বেহাল জাতীয় সড়কের অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তারপরও উদাসীন রয়েছে কেন্দ্র সরকার।’ বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ পুরাতন মালদা ব্লকের নারায়ণপুর বিএসএফ মোড় এলাকায় জেলা তৃণমূলের সহযোগিতায় এবং দলের মহিলা কমিটির উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি, জেলা মহিলা তৃণমূল কমিটির সভানেত্রী মৃনালীনি মণ্ডল মাইতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
চন্দ্রিমা বলেন, ‘আবাস যোজনা নিয়ে তো অনেক রকম কুৎসা বিরোধীরা রটিয়েছিল। মালদায় তো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এল। তারা কী কিছু খুঁজে পেয়েছে? কোনদিনও পাবে না। আসলে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’ চন্দ্রিমা আরও বলেন , ‘২০২০ সালে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিরোধীরা এরকমভাবেই বিভ্রান্তিকর প্রচার করেছিল। আজ দেশীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি সবথেকে ভালো আছে।’
একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রকল্প নিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘কন্যাশ্রী নিয়ে বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন । তার পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রেও উন্নতি করেছেন। সুতরাং আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন প্রশাসক যিনি কখনই সমাজকে বিভাজন করেন না। সবাই যাতে দুধে-ভাতে থাকতে পারে সেই চেষ্টায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী করে চলেছেন।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)