দীর্ঘ টালবাহানার পরে আজ সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টালের উদ্বোধন করা হতে চলেছে। আজ দুপুর একটায় সেই অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টালের মাধ্যমে ৪৬১টি সরকারি এবং সরকারি-সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের স্নাতক স্তরে ভরতি হওয়া যাবে। আজ থেকেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১৪ দিন আবেদন প্রক্রিয়া চলবে বলে সূত্রের খবর। তারপর সেই পোর্টালের মাধ্যমেই পড়ুয়ারা জানতে পারবেন যে তাঁরা কোন কলেজে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁর নাম কত নম্বরে আছে, সংশ্লিষ্ট কলেজে কতগুলি আসন পড়ে আছে।
সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টালে কী কী সুবিধা মিলবে?
১) সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টালের মাধ্যমে ১৪ দিন আবেদন জানানো যাবে।
২) সর্বোচ্চ ২৫টি কলেজে আবেদন করা যাবে।
৩) সর্বোচ্চ ২৫টি সাবজেক্ট কম্বিনেশনে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা।
৪) আবেদন করার জন্য কোনও টাকা লাগবে না।
৫) স্থানীয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে আবেদন করা যাবে।
৬) সূত্রের খবর, প্রতিটি কলেজে হেল্পডেস্ক খুলতে বলা হয়েছে। প্রার্থীরা কলেজের হেল্পডেস্ক থেকেও বিনামূল্যে আবেদন করতে পারবেন।
৭) কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হবে যে তাঁরা কোন কলেজে সুযোগ পেয়েছেন, কতগুলি আসন ফাঁকা আছে এবং ওয়েটিং লিস্টে কত নম্বরে তাঁদের নাম আছে।
অন্য কলেজে অ্যাডমিশন নিলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে?
সূত্রের খবর, অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কোন পড়ুয়া যদি একটি কলেজে ভরতি হয়ে যান এবং পরবর্তীতে অন্য কলেজে ভরতি হতে চান, সেটার সুযোগ পাবেন। যদি প্রথম কলেজের থেকে দ্বিতীয় কলেজের ফি কম হয়, তাহলে বাড়তি টাকাও ফেরত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে ২ বার হবে অ্যাডমিশন, ভরতি হওয়া যাবে সেশনের মাঝখানেই!
অবশেষে সফল হচ্ছে ব্রাত্যের পরিকল্পনা
এমনিতে দীর্ঘদিন ধরেই অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজের স্নাতক স্তরে ভরতির প্রক্রিয়া চালু করার চেষ্টা করছেন ব্রাত্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে যখন তিনি প্রথমবার শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন, তখনই সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২১ সালে ফের শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পরে অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করার উদ্যোগ নেন। ২০২২ সালে বিষয়টি নিয়ে অনেক দূর কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা সফল হয়নি। ২০২৩ সালে একেবারে শেষমুহূর্তে পোর্টাল চালু করার পরিকল্পনা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।
অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পরে ২০২৪ সালে অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতির প্রক্রিয়া শুরু হলে কলেজে ‘দাদা’, ‘দিদি’-দের দৌরাত্ম্য কমবে। লাখ-লাখ টাকা দিয়ে ‘দাদা’, ‘দিদি’-রা যে ভরতির প্রতিশ্রুতি দিতে আসতেন, সেটা হবে না।