শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় কোচবিহার জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করল মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর। বৃহস্পতিবার গভীর রাত শীতলকুচিতে গুলি চলে। গুলি আহত হন এক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জেলা প্রশাসনের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
গভীর রাতে চলে গুলি
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোচবিহারের শীতলকুচির লালবাজার গ্রামে গুলি চলে। গুলিতে আহত হন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিমেষ রানা। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে শীতলকুচি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহার শহরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে একটি নার্সিং হোমে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন। শীতলকুচিতে শুটআউট! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি, বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলল TMC
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পায়ে গুলি লাগে অনিমেষের।
আরও পড়ুন। আদালতের নোটিশ গ্রহণ না করায় রাজ্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল হাইকোর্ট
গুলি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা
এই ঘটনার পরই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে বিজেপি মন্তব্য, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহারে ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। প্রথম থেকে নির্বাচন কমিশনের নজর ছিল শীতলকোচির উপর। বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট মিটেছে। ভোট মিটে যাওয়ার পরই গুলি চলল। এই গুলিচালনার ঘটনায় প্রশাসনের থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন। রাজ্যপালকাণ্ডে নয়া মোড়, রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে FIR করল পুলিশ
আরও পড়ুন। মমতা ও অভিষেককে খুনের হুমকি দিয়ে উলুবেড়িয়ায় পোস্টার