বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনে চরম বিশৃঙ্খলা। এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি বাঁধে। এরই মধ্যে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়ার অভিযোগ উঠল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনায় আহত হননি উপাচার্য। তবে পড়ুয়াদের এই আচরণে ক্ষুব্ধ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের মারামারি, ধাক্কাধাক্কি এবং তুমুল হট্টগোলে অশান্ত হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন। টানা ২১ দিন পর নিজের বাসভবন থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উপাচার্য। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে বের হন উপাচার্য। সেখানে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পড়ুয়ারা উপাচার্যকে ঘিরে স্লোগান, বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকেও বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। তারই মধ্যে উপাচার্যকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, স্বৈরাচারী উপাচার্য পদত্যাগ না করলে তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে তাঁরা অনশন শুরু করবেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়ারা তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে লিখিত কোনও আবেদন জানাননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘ ২১ দিন ধরে উপাচার্য বাড়িতে আটকে থাকার কারণে বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক কাজে সমস্যা হচ্ছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠান-সহ বিশ্বভারতীর নানা ছোটখাটো অনুষ্ঠানও বাতিল করতে হচ্ছে। ফলে উপাচার্য বাড়ি থেকে না বেরোতে পারলে বিশ্বভারতীর এই অচল অবস্থাও কাটবে না।