এবার বিজেপি বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় একসঙ্গে তিনজন আহত হলেন। এই ঘটনায় এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গাড়ির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বনগাঁ থেকে কল্যাণী যাচ্ছিল বিজেপি বিধায়কের গাড়ি। মাঝপথে ওই গাড়িটি পথ দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। চাকদা ব্লকের নিখরগাছি খালপাড় এলাকায় বিজেপি বিধায়কের গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে মোটরবাইকে। আর তার জেরেই ওই তিন জন মারাত্মক জখম হয়েছেন। ওই তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে তেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন বলে খবর। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের গাড়িই সজোরে ধাক্কা মারে ওই মোটর বাইকে। ওই মোটরবাইকে তিনজন আরোহী ছিলেন। তাঁরা তিনজনই খুব ভাল বন্ধু। এই পথ দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতি এতটাই জোরে ছিল যে, ধাক্কা লাগার পরই ছিটকে পড়ে গিয়ে মারাত্মক জখম হন ওই তিনজন মোটরবাইক আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁদের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার যুবতী, মাদক খাইয়ে কুকীর্তি করে গা ঢাকা চার
এই পথ দুর্ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ এত জোরে গাড়ি চালাবার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এত দ্রুতগতিতে কেন গাড়ি চালালেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার? প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। কোনও বড় কর্মসূচি বা জরুরি কাজে যাচ্ছিলেন না বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তাই এভাবে ধাক্কা লাগলে মানুষ মরেও যেতে পারত। এই অভিযোগ তুলে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রাখা হয় বিজেপি বিধায়কের গাড়ি। প্রতিবাদীদের দাবি, আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে।
এই ঘটনায় চাপে পড়ে যান বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। এমন অবস্থায় ঘটনাস্থলে যান হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তখন তাঁকেও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেখানে হাজির হয় চাকদা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘বাম্পারে উঠতে গিয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় আর ধাক্কা লাগে। আমি তখনই গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। প্রয়োজনে চিকিৎসার সব খরচও দিয়ে দেব।’