পর পর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় টনক নড়েছে প্রশাসনের। বেআইনি বাজি তৈরি, মজুত ও বিক্রি বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে চম্পাহাটিতে বাজিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। সেখানে ২ মাসের জন্য বাজি তৈরি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের নন্দরামপুরে মজুত থাকা বেআইনি বাজি বিস্ফোরণে ১টি নাবালিকাসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। এর পরই এলাকায় বেআইনি বাজি তৈরি বন্ধ করতে তৎপর হয় প্রশাসন। নবান্নের নির্দেশে চম্পাহাটি ও সংলগ্ন এলাকায় ২ মাসের জন্য বাজি তৈরি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। স্থানীয় আসতবাজি প্রস্তুতকারীদের সংগঠনকে সেকথা জানানো হয়েছে। আর এই নির্দেশে মাথায় হাত পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের।
চম্পাহাটি, হাড়াল ও লাগোয়া এলাকায় বাজি তৈরি একটি কুটিরশিল্প। সেখানে ঘরে ঘরে বাজি তৈরি হয়। বাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় রুটি - রুজি নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে এলাকার প্রায় ১৫০ বাজির দোকান সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে। এলাকা থেকে প্রচুর বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেআইনি বাজি মজুতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জনকে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ‘পুলিশের নির্দেশ না মেনে উপায় নেই। আমরা দোকান বন্ধ রাখব। পুলিশকে সহযোগিতা করব। কিন্তু বেশিদিন এভাবে চলা সম্ভব নয়। বংশানুক্রমে আমরা বাজির কারবার করি। এছাড়া আমরা কিছু জানি না। আমরা চাই বাজি ব্যবসাকে আইনি স্বীকৃতি দিক সরকার।’
বারুইপুর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামাসুন্দর চক্রবর্তী বলেন, ‘বিস্ফোরণে মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে। প্রাণের থেকে দামি কিছু হতে পারে না। এই সমস্যার সমাধান না করে বাজি ব্যবসা করা উচিত নয়। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টা করব।’