চুঁচুড়ায় যুবক বিষ্ণু মাল খুনের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া মুন্ডুটির DNA পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। মঙ্গলবার বিকালে বৈদ্যবাটিতে দিল্লি রোডের ধারে নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিষ্ণুর মুন্ডুটি। কিন্তু সেটি আর সনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। তাই মুন্ডুটির DNA পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুর দেহাংশ থেকে সংগৃহীত নমুনার DNA-র সঙ্গে ওই মুন্ডুর DNA মিলিয়ে দেখা হবে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। DNA মিললে আইনত নিশ্চিত হওয়া যাবে মুন্ডুটি বিষ্ণু মালেরই। এছাড়া তাঁকে যে খুনের পর দেহ খণ্ড করা হয়েছিল তাও প্রতিষ্ঠা করা যাবে আদালতে।
এই মামলায় মূল অভিযুক্ত বিশাল দাসের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির। অভিযুক্ত যাতে কোনও ভাবেই পার পেতে না পারে সেজন্য এবার কোনও আইনি দরজা খোলা রাখতে চায় না পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, বিশালের বিরুদ্ধে যে তথ্যপ্রমাণ ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে তাই তাকে সাজা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু পুলিশ সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে চায়।
গত ১০ অক্টোবর চুঁচুড়ার কামারপাড়ার বাসিন্দা বিষ্ণু মালকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে বিশাল দাস ও তার সাগরেদরা। এর পর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয় দিল্লি রোডের ধারে। বেশ কয়েকদিন পর বিষ্ণুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রথীন সিং ও বিপ্লব বিশ্বাস নামে ২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বিষ্ণুর ধড় ও হাত পা উদ্ধার হলেও মুন্ডুর খোঁজ মিলছিল না।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থেকে গ্রেফতার হয় বিশাল দাস। সোমবার তাকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে মুন্ডুর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। সকাল থেকে বিশাল, রথীন ও বিপ্লবকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি রোডের ধারে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় তারা। বিকেলে বৈদ্যবাটির দীর্ঘাঙ্গী মোড়ের কাছে নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয় কাটা মুন্ডুটি।