এবার বিচারকের ভর্ৎসনা এবং শাস্তির মুখে পড়তে হল চন্দননগর থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে। এই ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে পুলিশ মহল। কারণ এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন হওয়ার পর সঠিক পথে তদন্ত এগোয়নি বলেই অভিযোগ বিচারকের। শুধু তাই নয়, কর্তব্যে গাফিলতি এবং বিচারক ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও আদালতে হাজিরা উপেক্ষা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই ঘটনায় দুই পুলিশ অফিসারকে ভর্ৎসনা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ঈশিতা রায়। চন্দননগর থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পকসো মামলা নিয়ে পুলিশকর্মীদের সচেতন করুন।
ঠিক কী ঘটেছে চন্দননগরে? চন্দননগর আদালত সূত্রে খবর, চন্দননগরের এক কিশোরীর উপরে যৌন নির্যাতন ঘটলেও থানা প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। তখন ওই কিশোরীর পরিবার আদালতে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারক নির্দেশ দেন। তখন মামলা দায়ের করে পুলিশ। কিন্তু নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতে পাঠায়নি পুলিশ। এই ঘটনায় আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেন বিচারক। কিন্তু দুই পুলিশ অফিসার হাজির হননি। তখন বিচারক পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন, ওই দুই পুলিশ অফিসারকে আদালতে হাজির করতে হবে।
আর আদালতে হাজির হয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান দুই পুলিশ অফিসার। তাঁরা আদালতকে জানান, নির্যাতিতা আদালতে বয়ান দিতে অস্বীকার করেছে। আর নির্যাতিতার মা আদালতকে জানান, পুলিশ জবানবন্দির কথা তাঁদের জানায়নি। তখনই রেগে যান এবং ভর্ৎসনা করেন বিচারক। বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে নজর দিতে বলা হয়েছে। আর এই ঘটনায় আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘নির্দেশ হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেব।’