বেলদায় নতুন তৃণমূল জেলা সভাপতির সামনেই বচসায় জড়াল দলের দুই গোষ্ঠী। বচসার জেরে সাংগঠনিক সভা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত সভাপতির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা যাতে আরও না বাড়ে, সেজন্য এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর এই প্রথম বেলদায় গঙ্গাধর অ্যাকাডেমিতে তৃণমূলের তরফে সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় হাজির ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুভাষ হাজরা। এছাড়াও হাজির ছিলেন দাঁতনের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মিহির চন্দ।
সভা চলাকালীন সূর্যকান্ত অট্টের গোষ্ঠীর সঙ্গে মিহির চন্দের গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা হয়। জানা গিয়েছে, সভায় চলাকালীন এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয়।দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার জেরে ভুণ্ডুল হয়ে যায় সভার কাজ। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা এতটাই তীব্র আকার নেয় যে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমনে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নতুন জেলা সভাপতিকে। গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির সামনেই প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সভায় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি প্রসঙ্গে দাঁতনের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট ও ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দকে ফোনে ধরার চেষ্টা করা হলে কাউকেই ফোনে পাওয়া যায়নি। দুজনের ফোনই সুইচট অফ ছিল। তবে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, এর আগেও এই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।