সিবিআইয়ের কথা মতো জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁর মক্কেলকে। এমনই অভিযোগ করলেন হাঁসখালি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্তের আইনজীবী। উল্লেখ্য, ৭০ বছর বয়সি অংশুমান বাগচিকে দুদিন আগে কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। হাঁসখালি কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন অংশুমানবাবু।
কেন গ্রেফতার করা হল অংশুমানবাবুকে? সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নির্যাতিতা দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দাহ করা পর্যন্ত সমস্ত পরিকল্পনাই করেছিলেন ৭০ বছরের এই বৃদ্ধ। সিবিআই আধিকারিকরা অনেকদিন ধরেই অংশুমানবাবুকে খুঁজছিলেন। কিন্তু পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত গত দুই দিন আগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সিবিআই যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে, তাতে অভিযুক্ত অংশুমানবাবুকে ফেরার হিসাবে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, হাঁসখালি কাণ্ডে নয় জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৪৩ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
গত সোমাবার বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে অংশুমানবাবুকেও রানাঘাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। এদিন অংশুমানবাবুর আইনজীবী আদালতকে জানান, ‘সিবিআই আধিকারিকরা প্রভাব খাটিয়ে তদন্তকে বিকৃত করছে। অংশুমানবাবুর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। সিবিআইয়ের শিখিয়ে দেওয়া জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় অংশুমানবাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আসলে অংশুমানবাবু শ্মশানবন্ধু হিসাবে গিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁর মক্কেলকে হয়রানি করা হচ্ছে।’ বিচারক সুতপা সাহা ধৃতদের ১৬ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন চার্জশিটে উল্লিখিত সিবিআইয়ের বয়ান নিয়েও চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তের আইনজীবীরা। সিবিআইয়ের চার্জশিটে রয়েছে, কিশোরীকে কোকেন জাতীয় মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর যৌনাঙ্গে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযুক্তের আইনজীবীর মতে, নির্যাতিতার মা তো তাঁর অভিযোগপত্রে এই ধরনের কথা বলেননি।