জেল থেকে বেরিয়েই তৃণমূলে নাম লেখালেন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো। শনিবার মেদিনীপুর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর লালগড় পৌঁছন তিনি। পথে জায়গায় জায়গায় তাঁর জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। যা দেখে তিনি আপ্লুত বলে জানিয়েছেন ছত্রধর।
ছত্রধরের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন লালগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মাহাতো ও স্ত্রী নিয়তি মাহাতো। ছত্রধরের পরনে ছিল নীল-সাদা পোশাক। রীতিমতো বাইক মিছিল করে তাঁকে লোধাশুলি থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছে দেওয়া হয়। ছত্রধরকে দেখতে রাস্তার পাশে ভিড় করেন বহু মানুষ। রাস্তায় অনেকের সঙ্গে কথাও বলেন ছত্রধর।
লালগড়ে পৌঁছে ছত্রধর বলেন, ‘এত মানুষ এখনো আমার জন্য রাস্তায় নেমেছে দেখে অবাক লাগছে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দিদির সঙ্গে থেকে মানুষের সেবা করব।’
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ছত্রধরকে সামনে রেখে জঙ্গলমহলে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে নামতে পারে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফুটেছে পদ্ম। এই পরিস্থিতিতে ছত্রধরের মতো গোপন অপারেশনে পারদর্শী নেতাকে কাজে লাগাতে চাইছে দল।
২০০৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ের সামনে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ ওঠে ছত্রধরের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে তাকে গ্রেফতার করে দেশদ্রোহিতার মামলা দেয় পুলিশ। সেই মামলায় ছত্রধরকে যাবজ্জীবন সাজা শোনায় মেদিনীপুর আদালত। হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করে। সেই মেয়াদ পূর্ণ হতে শনিবার ছাড়া পেলেন ছত্রধর।