একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী'কে সরকারি পদে নিয়ে আসা হল। শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য করা হল ছত্রধরের স্ত্রী'কে। শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও যান ছত্রধর মাহাতো। তবে বাড়িতে গিয়ে দেখা পাননি মহাসচিবের। ছত্রধরের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘বিজয়ায় অনেকেই আসেন, দেখা হয়নি, দুর্ভাগ্য।’ যাঁকে মাওবাদী তকমা দেওয়া হয়েছিল, জেল খাটতে হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে দেখা না হওয়াটাকে নিজের দুর্ভাগ্য বলায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এখন ছত্রধর মাহাতো অবশ্য তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে ঢুকে পড়েছেন। তাঁর কাঁধেই এখন জঙ্গলমহলের ভোট করানোর দায়িত্ব। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যপদ দেওয়া হল ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী'কে। কমিশনের পুরনো কমিটি ভেঙে সম্প্রতি নতুন কমিটি গড়া হয়। সেই কমিটিতেই জায়গা পেয়েছেন একসময় লালগড়ে পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির আহ্বায়ক তথা বর্তমানে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো।
স্ত্রী'কে রাজ্য সরকারের এই কমিশনের সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে তিনি যথেষ্ট খুশি বলে জানিয়েছেন ছত্রধর। প্রথমে ছত্রধরকে সরাসরি দলে নেওয়া, এবার তাঁর স্ত্রী'কে সরকারি কমিশনের সদস্যপদ। বিরোধীদের মন্তব্য, পরের বছর ভোটের দিকে তাকিয়ে জঙ্গলমহলের ভোটকে সুরক্ষিত করতে চাইছে তৃণমূল। তাই এই ব্যবস্থা। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।