ভাইরাল ওড়িয়া গান 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ' এখন বাংলার রাজনীতিতে একটা 'হট টপিক'। কয়েকদিন আগেই ওড়িয়া গানটির একটি প্যারোডির মাধ্যমে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছিল তৃণমূল। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ায়। আর এবার বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে 'ছিঃ ছিঃ ননী' প্যারোডি গান বাঁধল বিজেপি। সেই গানের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া আবার পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। (আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান ঘিরে জল্পনা, বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা)
আরও পড়ুন: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে 'উল্লাস' করায় যুবকদের মাথা ন্যাড়া করাল পুলিশ
বীরভূম বিজেপি গানের মাধ্যমে অভিযোগ করে, 'দুই জন মিলে উন্নয়নের কথা মুখে বলেছিলে... টাকার লোভে কী করেছ, চাতাল ভেঙে দিলে। ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ব্যানার্জি...' সেই গানের ভিডিয়ো পোস্ট করে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লেখেন, 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে 'মমতা' ব্যানার্জি'। সঙ্গে হাসির ইমোজি দেন তিনি। জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবদের সমাধি ধ্বংস করে নির্মাণ কাজ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির তরফ থেকে তারাপীঠে এই ধরনা ও অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বিজেপি নেতা কর্মীরা এই গান গেয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: 'পঞ্চায়েতে ২ জেলায় ১.৫ লাখ ভোট', বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার সব আসনে লড়বে AIMIM)
এর আগে নদিয়ার বগুলার ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারে বিজেপিকে 'ছিঃ ছিঃ ননীর' প্যারোডিতে বিঁধেছিল তৃণমূল কংংগ্রেস। দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করার দাবি তুলে পোস্টারে লেখা হয়েছিল, 'চেয়ারে বসে দেড় বছরে করলি সোনা এ কী? / হাজার পাঁচেক জাল সার্টিফিকেট বেচে নিজের ভাগে কত পেয়েছিস?' ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, আড়াই বছরে এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ৫ হাজার জাল নথি বিক্রি করেছে টাকার বিনিময়ে। সেই অভিযোগে গত কয়েকদিন আগেই এই পঞ্চায়েতের কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। (আরও পড়ুন: চালাতে না পারলেও টুকটুকে লাল রঙের টেসলা কিনলেন ট্রাম্প, গাড়িটির দাম কত জানেন?)
উল্লেখ্য, এই 'ছিঃ ছিঃ ননী' গানটি সম্প্রতি ভাইরাল হলেও আদতে এটি প্রায় ২০ বছর পুরনো। সঙ্গীত শিল্পী সত্য অধিকারীর গাওয়া এই গান। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিয়ো। গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। ওড়িয়া এই গানটির বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় - সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নেই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।