আজ থেকে শুরু হল এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন পরীক্ষার্থী সহ তাঁদের অভিভাবকরা। পর্ষদের নির্দেশ মতোই পরে পরীক্ষার্থীদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। রীতিমতো মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকানো হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করবেন অভিভাবকরা। এই অবস্থায় অভিভাবকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হল চুঁচুড়ার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। চা জলের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্য প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে অঞ্চল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। চুঁচুড়া সুকান্তনগর অনুকুল চন্দ্র হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষারত অভিভাবকদের জন্য এমনই ব্যবস্থা করেছে কোদালিয়া অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব। (আরও পড়ুন: রোহিত বিতর্কে 'হিটউইকেট' কংগ্রেস, ভারত অধিনায়ককে নেত্রীর 'অপমান' নিয়ে দল বলল…)
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘বিশেষ বাস’ চালানো হবে, পরিষেবা–সহ রইল সূচি
জানা গিয়েছে, পরীক্ষার দিনগুলিতে অভিভাবকদের জন্য চাউমিন, বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন অভিভাবকদের জন্য প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের বাইরে অপেক্ষারত অভিভাবকদের যাতে কোনও রকমের অসুবিধা না হয় তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের বসার জন্যও জায়গা তৈরি করা হয়েছে। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও এখানে অভিভাবকদের জন্য চা এবং জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ প্রথম দিনে অভিভাবকদের ঘুগনি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। অভিভাবকদের যাতে কোনও রকমের সমস্যা না হয় তার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এছাড়াও, তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন। সূত্রের খবর, দলের কর্মীদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অভিভাবকদের যাতে অসুবিধা না হয় সেটা দেখতে। (আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে মামলা হাইকোর্টে, প্রধান বিচারপতি বললেন...)
আরও পড়ুন: ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই’, মেনে নিলেন ইউনুস, উল্লেখ মোদীর
এবিষয়ে কোদালিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পরীক্ষা যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ অভিভাবকদের অপেক্ষা করতে হবে। তাই তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয় তারজন্য বসার জায়গা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের জন্য প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।তাঁদের জন্য থাকছে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন ঘুগনি, লুচি। আর শেষ দিনে থাকবে চিকেন বিরিয়ানি। উল্লেখ্য, এই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় ১৮০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। সেখানে সবমিলিয়ে ১৫০ জন অভিভাবকের জন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা।