ক্রমেই চড়া পড়ে যাচ্ছে আত্রেয়ী নদীতে। বাসিন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে ছোট বাঁধের জেরে ক্রমেই শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে আত্রেয়ী। এর জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। এদিকে ২০১৫ সাল থেকে আত্রেয়ীকে বাঁচাতে আন্দোলন দানা বাঁধে দক্ষিণ দিনাজপুরে। জাতীয়স্তরে সেই আন্দোলনর ঢেউ এসে পড়ে। তবু এখনও সমস্যা মেটেনি। তবে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এই আত্রেয়ী নদীকে বাঁচানোর ব্যাপারে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রকেও এনিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। এর জেরে যথেষ্ট খুশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি আত্রেয়ী বাঁচলে, বাঁচবে চাষ আবাদ, জীবন, জীবিকা। সেই নদীকে বাঁচাতে এবার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলা শাসকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তুমি কখনও নদী ভিজিট করেছ? ভারত সরকারক বলে দিও, ওদের কাজ আমরাই করে দিচ্ছি। সারা বছর নদীতে জল ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও তিনি দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে কারা বাঁধ দিয়েছে তা নিয়েও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আত্রেয়ী ও পুনর্ভবাকে নদীকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে নতুন আশায় বুক বাঁধছে বালুরঘাট। ৩১ কোটি টাকা ব্যয় করে নদী বাঁচানোর কাজে হাত দেওয়া হয়েছে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে বাসিন্দাদের দাবি একটা সময় আত্রেয়ীর উপর নির্ভর করে চাষ আবাদ, মৎস্যচাষ সহ বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেই আত্রেয়ী আজ ক্ষীণশ্রোতা। নদী বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বার বার। এবার সেই নদী বাঁচানোর আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।