কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পান তার জন্য কিষাণ মান্ডি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, কিষাণ মান্ডিতে অতীতে বহু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে কিষাণ মান্ডি থেকে মাসের-পর-মাস চাষিদের ঘোরানো হচ্ছে। ফলে কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে না পেরে বাধ্য হয়ে আড়তদারদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করছেন চাষিরা। এই দুর্নীতি নিয়ে এবার খুব ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিষাণ মান্ডিতে দুর্নীতি রুখতে তিনটি করে খাতা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বাঁকুড়া সফরের আগে পুরুলিয়ায় দলীয় কর্মী সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি একাধিক ইস্যু নিয়ে যেমন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, তেমনি কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনা বেচা নিয়ে দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘গরীব চাষিদের ঠকানো হচ্ছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কারও থেকে ধান না কেনা মানেই আড়তদারদের সুবিধা করে দেওয়া। এটাও এক ধরনের দুর্নীতি।’ এর পরেই তিনি কিষাণ মান্ডিতে তিনটি করে খাতা রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘যাদের ধান কেনা সম্ভব হয়নি তাদের নাম থাকবে লাল খাতায়। সবুজ খাতায় যাদের ধান কেনা হয়েছে এমন চাষিদের নাম থাকবে। আর আড়তদারদের নাম থাকবে হলুদ খাতায়।’ একইসঙ্গে কিষাণ মান্ডিতে অবস্থিত সিসিটিভি ফুটেজ, ওজন করা যন্ত্রের পরীক্ষা, পুলিশকে সারপ্রাইজ ভিজিট করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী কৃষিতে ধান কেনা বেচায় দুর্নীতি নিয়ে তিনটি উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কিষাণ মান্ডির ওজন করার যন্ত্রেও গরমিল পাওয়া যাচ্ছে।’ এই সমস্ত দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য দফতরের অফিসার এবং জেলা শাসকদের নিয়ে মুখ্যসচিবকে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে, যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আছে তাদের খুঁজে বার করতে নির্দেশ দিয়েছেন।