মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও বরাবরই মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালোবাসেন। সে কারণে বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে কখনও চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে রান্নায় হাত লাগান, আবার কখনও কারও বাড়িতে ঢুকে মোমো বানাতেও শুরু করেন, কারও দোকানে ঢুকে পরে চপ ভাজতেও শুরু করেন। অতীতে এরকম বিভিন্ন ছবি দেখা গিয়েছে। বসিরহাট সফরেও সেরকম ছবি দেখা গেল। বুধবার সেখানে বাড়িতে গিয়ে উঠোনে বসে ঝাঁটা, চাটাই বাঁধার কাজে হাত লাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, উঠোনে বসে খাওয়া-দাওয়াও সারলেন।
বুধবার বসিরহাট সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাসনাবাদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শন করার পর বহু মানুষকে শীতবস্ত্র বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এসবের মধ্যে দুপুর গড়িয়ে যায়। তখন মুখ্যমন্ত্রী নমিতা মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে ঢোকেন। সেখানে সকলের সঙ্গে চাটাই এবং ঝাঁটা বাঁধার কাজে তিনি হাত লাগান।
মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ভিড় জমে এলাকাবাসীদের। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই সময় অনেক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নানান সমস্যার কথা জানান। কেউ নিজের আধার কার্ড আবার কেউ ভোটার কার্ড না থাকার কথা জানান। তখন কী করনীয় সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে শোনা যায়। এরপরে সেই বাড়িতেই তিনি খাওয়া-দাওয়া সারেন। স্টিলের থালায় ভাত ট্যাংরা মাছের ঝাল মুখ্যমন্ত্রীকে খেতে দেন নমিতা। তা দেখে তাঁর এক প্রতিবেশী নিজের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন আলু পটলের তরকারি।
নদীমাতৃক সুন্দরবনের পর্যটনের সম্ভাবনা ক্ষতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী টাকি থেকে মিনি সুন্দরবন জলপথে ঘুরে দেখেন। প্রসঙ্গত, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে একের পর এক তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচিকে জনসংযোগের কর্মসূচি হিসেবেই দেখছেন বিরোধীরা।