প্রৌঢ়ার লাথিতে মৃত্যু হল এক সাত বছরের শিশুর। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার কুটুরিয়া গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রৌঢ়া গা ঢাকা দিয়েছে। মর্মান্তিক এই শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম অভিলাষ ঘোষ (৭)। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রৌঢ়া রক্ষা ঘোষ ও তাঁর স্বামী নেপাল ঘোষ পলাতক। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ওই শিশুকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। শনিবার সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার পর তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত শিশুর এক আত্মীয় বলেন, ‘ঘটনার দিন অভিলাষ তাঁর পাড়ারই সমবয়সী এক বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল। সেই সময় কোনও কারণ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে মারপিট বেঁধে যায়। দু’জনকে ওইভাবে ঝগড়া মারপিট করতে দেখে ওই পাড়ারই রনি নামের আরও এক কিশোর সেখানে চলে আসে। লড়াই থামানোর জন্য দু’জনকেই সে থাপ্পড় মারে। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় রনির দিদা সেখানে উপস্থিত হন। তিনি আচমকা অভিলাষকে লক্ষ্য করে সজোরে তার পেটে লাথি মারেন। ঘটনাস্থলে অচেতন হয়ে লুটিয়ে পড়ে ওই শিশু। ওই ভাবে তাকে পড়ে যেতে দেখে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেন ওই প্রৌঢ়া।
অভিলাষের সঙ্গী ওই শিশুর চিৎকারে আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় শিশুর বাড়িতে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তারপর সেখান থেকে কাটোয়া হাসপাতাল হয়ে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অভিলাষের।ঘটনার পর পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ওই মহিলার বিরুদ্ধে ছেলেকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুর পরিবার। অভিযুক্তদের খুঁজতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ওদিক ওই শিশুর যে এই রকম মর্মান্তিক পরিণতি হবে, তা স্বপ্নেও কেউ ভাবতেই পারছেন না। ঘটনা ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।