মেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে পারে, তাই তাঁদের কথা চিন্তা করে রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী চালু হলেও এখনও অনেকেরই মেয়েদের নিয়ে মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। অপ্রাপ্তবয়সেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন মেয়েকে। এমনই ঘটনার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি গ্রামে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন তাঁর ঠাকুমা। আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করেই ঘরের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দায় সেরেছেন ঠাকুমা। কন্যাশ্রী প্রকল্পের কোনও আঁচ তাঁর ওপর লাগেনি। কন্যাশ্রী থাকলে একটি মেয়ে ভবিষ্যতে কী সুবিধা পেতে পারেন, সেব্যাপারেও অবগত নন তিনি। ইতিমধ্যে ওই মেয়েটি দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বাও। মেয়েটির ঠাকুমার বক্তব্য, ‘মেয়েটির কোনও বাবা মা নেই। পরিবারের আর্থিক সংস্থানও ভালো নয়। তাই মেয়েটিকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দায় সেরেছেন।’ জানা গিয়েছে, মেয়েটির একটি ছোট বোনও রয়েছে যার বয়স ১০ বছর। মনে করা হচ্ছে, ছোট বোনটিরও অবস্থাও তাঁর দিদির মতোই হবে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও। তাঁদের মতে, একুশ শতকে দাঁড়িয়ে কেন এই ধরনের দৃশ্য দেখতে হবে। রাজ্য সরকার যখন মেয়েদের পড়াশোনার সুবিধার্থে এত ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, তখন এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে কেন। এই ধরনের ঘটনার খবর প্রশাসনের কাছেও প্রথমে ছিল না। তবে পরে এই খবর জানাজানি হতেই প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে পুলিশের হস্তক্ষেপে অনেকবার নাবলক–নাবালিকার বিয়ে রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।