শান্তিনিকেতনের মোলডাঙায় শিশু খুনের ঘটনা ঘটেছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বসেন। সিবিআই তদন্ত চান। ঘটনাস্থলে চলে আসেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকী বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। সেখানে আজ, বৃহস্পতিবার পুলিশকে কার্যত ক্লিনচিট দিল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না বলেই দাবি করেছেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। ফলে ধোপে টিকল না বিজেপির রাজনীতি বলে মনে করছেন অনেকে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? আজ, বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা আসেন। চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকা পারভিন এবং জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিনহা। নিহত শিশু শিবম ঠাকুরের বাড়ি যান তাঁরা। শিবমের বাবা তাঁদের বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত রুবি বিবির সঙ্গে কথা বলতাম না। কিন্তু এত বড় ক্ষতি করবে ভাবতে পারিনি।’
ঠিক কী বলেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান? শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না। নিখোঁজ ডায়েরি করে বাড়ি ফিরে আসার আগেই পুলিশ এলাকায় আসে। তারা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। তারা যে শাস্তি দাবি করছে তা অভিযুক্ত পাবেই। তাতে তাদের কোলে আর শিশুকে ফিরে পাবে না। আমরা শোকগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি। শিশুদের উপর অত্যাচার কমাতে সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’
ঠিক কী ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে? তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর ছাদ থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায় মোলডাঙা গ্রামে। গোটা এলাকায় অরন্ধন পালিত হয়। অভিযুক্তদের চরম শাস্তি চান শিশুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আজও বলেন, ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই হয়েছে এমনটা। ওই বাড়িতেও পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু কোন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ ব্যর্থ।’