নদিয়ার কোতোয়ালি এলাকার একটি স্টিল কারাখানায় কাজ করত কয়েকজন যুবক। পুলিশ জেনেছে তারা আদপে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী। ঘুরপথে ভারতে এসে তারা স্টিল কারখানায় কাজে জুটে গিয়েছিল। এদিকে সেই এলাকাতেই এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাংলাদেশি শ্রমিক মিলন হোসেনের। গত ২৩শে জুন আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় বছর ১৫র ওই স্কুল ছাত্রী। এরপর মিসিং ডায়েরি হয় থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মিলনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। আর মিলন তাকে বাংলাদেশে পাচার করে দিয়েছে। মিলনের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরও তিন বাংলাদেশিকে পুলিশ আটক করে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকে কিশোরী পাচারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পুলিশ প্রশাসনের অন্দরে। বাংলাদেশের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় রাজ্যের তরফে। এরপর জানা যায় রংপুরের একটি হোমে ঠাঁই হয়েছে কিশোরীর। পরিবারের সদস্যরা ফোনে মেয়েটির সঙ্গে কথাও বলেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, বাংলাদেশের হোমে মেয়েটির উপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চলছে। কার্যত দিশেহারা অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এদিকে এভাবে দেশের ভেতরে এসে এখানকার কিশোরীকে পাচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
বিচারপতি নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এব্যাপারে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। সেব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। ওই কিশোরীকে ফেরৎ পাঠানোর জন্য ও কিশোরীর যাতে সমস্যা না হয় সেটা দেখার জন্য ভারতের নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের হাই কমিশনারের কাছেও অনুরোধ করেছে কোর্ট। নাবালিকার পক্ষের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত ও নীলাদ্রি সাহা বলেন, আদালত ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।