তিন বছরের শিশু কন্যার গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ৫ বছরের ছেলে। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার পিরোজপুর এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। মেয়েকে খুনের পর ছেলেকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় অভিযুক্ত। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন বছরের মেয়ে এবং পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন মা। তখন অভিযুক্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বাচ্চাদের। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তিন বছরের আসমা শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর জখম পাঁচ বছরের হাসিবুলকে বহরমপুরে আনা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। অভিযুক্তের নাম সাহাবুল শেখ। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে রঘুনাথগঞ্জেই থাকতেন তিনি। পেশায় কৃষক রবিবার রাতে খাওয়া–দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রথমে তিন বছরের আসমা খাতুনের উপর চড়াও হয় বাবা সাহাবুল। গলার নলি কেটে দেয় মেয়ের। এরপরই ছেলের উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তার চিৎকারে পরিবারের সবাই ছুটে এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। দ্রুত দুই খুদেকে হাসপাতালে নিয়ে যান মা টিয়ারা বিবি।
এই ঘটনার পর স্ত্রী টিয়ারা বিবি বলেন, ‘স্বামী সাহাবুল শেখ আমার ছেলে–মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরেছে।’ এখন পলাতক অভিযুক্ত সাহাবুল। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘কেন এই খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’ ঘটনার খবর পেয়েই রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। তবে ততক্ষণে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত। কেন এভাবে সন্তানদের হত্যার চেষ্টা করল সাহাবুল? মানসিক ভারসাম্যহীন অভিযুক্ত? নাকি এই নৃশংসতার নেপথ্যে অন্য রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।