লাদাখে চিনা ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে বীরভূমের ২৬ বছর বয়েসি জওয়ান রাজেশ ওরাঁও। এই হত্যার বদলা নিক ভারতীয় সেনাবাহিনী, দাবি রাজেশের বাবা সুভাষ ওরাঁওয়ের।
ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরে কান্নায় ভেঙে পড়া সুভাষ বলেন, ‘ছেলের জন্য আমি গর্বিত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আমার একটাই অনুরোধ, দেশের সৈনিকদের হত্যার জন্য চিনকে যেন সমুচিত জবাব দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: ‘দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, গর্বিত আমরা’, বললেন শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবুর বাবা-মা
বীরভূমের মহম্মদবাজারের আদিবাসী গ্রাম বেলঘোরিয়ার ছেলে বিহার রেজিমেন্টের সেপাই রাজেশ ওরাঁওয়ের অসুস্থ বাবা ছাড়া পরিবারে রয়েছেন মা ও দুই বোন। কিছু দিন আগেই বিয়ে হয়েছে বড় বোনের।
মঙ্গলবার রাজেশের কাকার মোবাইল ফোনে সেনাবাহিনীর তরফে মৃত্যুসংবাদ আসার পর থেকেই কেঁদে চলেছেন তাঁর মা, বাবা ও বোনেরা, জানিয়েছেন প্রতিবেশী প্রসেনজিৎ মালাকার।
আরও পড়ুন: গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা
কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়েই সেনাবাহিনীতে যোগ দেন রাজেশ। পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরি উদ্যোগে পরিবারের পাকা বাড়ি তৈরি হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ বার বাড়ি এসেছিলেন এই তরুণ।
কাকা নগেন ওরাঁও জানিয়েছেন, ছোট থেকেই খেলাধুলোয় তুখোড় ছিলেন রাজেশ, আর তখন থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ‘ও আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে। শুধু বড় তাড়াতাড়ি ওকে বিদায় নিতে হল,’ অশ্রুসজল চোখে জানিয়েছেন নগেন।