পরিবার সম্পর্ক না মেনে নেওয়ায় গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা যুগলের। স্থানীয় কাউন্সিলরের তৎপরতায় তরুণী প্রাণে বাঁচলেও তলিয়ে গেলেন যুবক। শনিবার সন্ধ্যায় জুবিলি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন তাঁরা। তরুণী স্নেহা খাতুনকে বাঁচানো গেলেও তাঁর সঙ্গী মোক্তারের এখনও কোনও খোঁজ নেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোক্তার ও স্নেহা উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা। তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিল না মোক্তারের পরিবার। এর জেরে একসঙ্গে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেই মতো শনিবার বিকেলে নৈহাটি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে হুগলি ঘাটে নামে। সেখান থেকে হেঁটে ওঠেন জুবিলি ব্রিজের ওপর। ব্রিজের ওপর থেকে একসঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ২ জনে। সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গায় তলিয়ে যান মোক্তার। কিন্তু স্নেহা আটকে যান কচুরিপানায়। এর পর বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।
খবর পেয়ে মাঝি মল্লা নিয়ে তরুণীকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন চুঁচড়ো পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তরুণীকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মিলে মোক্তারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু রবিবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।