সম্ভবত একসঙ্গে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে প্রণয়ী যুগল। চোপড়ায় কিশোরীর রহস্যমৃত্যু ও তাঁকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তের মৃত্যুতে উঠে আসছে এমনই তথ্য। পুলিশের অনুমান, যুবক ফিরোজ আলির সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। সেজন্য তাঁর হাত ধরে পালাতে চেয়েছিল সে। ভিনধর্মের এই প্রেমে কিশোরীর মৃত্যুর পর লেগেছে রাজনীতির রং।
বুধবার নিহত যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায় কিশোরীকে খুনে অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যুও হয়েছে বিষক্রিয়ায়। এর আগে কিশোরীর মৃত্যুও বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, দুজনের দেহে একই বিষের উপস্থিতি মিলেছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল থেকে কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই যুবকের। টের পেয়ে মাঝে মেয়েকে দিদির বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মা। ফুরে এসে ফের ২ জনের মধ্যে যোগাযোগ হয়। কিশোরীর মোবাইল ফোন ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে ১১টা নাগাদ প্রেমিককে মেসেজ করে কিশোরী। তাতে জানায়, তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে চায় সে। নইলে একসঙ্গে ২ জনে বিষ খাবে।
প্রেমিকার মেসেজ পেয়ে গভীর রাতে কিশোরীর বাড়িতে পৌঁছয় যুবক ফিরোজ আলি। ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছেন কিশোরীর বাড়ির লোকেরা। সেই সুযোগে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছাড়ে কিশোরী। বাড়ি থেকে কিছু দূরে যেখানে কিশোরীর দেহ মিলেছে, সেখানে বসে ২ জনে চকোলেট খায়। এর পর একসঙ্গে বিষ খায় ২ জনে।
পুলিশের দাবি, পাশাপাশি মৃত্যু হয় কিশোরী ও তাঁর প্রেমিক ফিরোজ আলির। সকালে বাড়ির কাছে মেয়ে ও তার প্রেমিককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। আর যুবকের দেহ নয়ানজুলিতে লুকিয়ে ফেলে তারা। পরদিন নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয় ফিরোজ আলির দেহ। এরই মধ্যে একে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বলে দাবি করে আন্দোলনে নামে বিজেপি।