বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়াননি ‘নন্দীগ্রামের মা’ ফিরোজা বিবিও। এবার কি তাঁর বিপক্ষে ছোট আঙারিয়াও? সম্প্রতি এমনই প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী ৪ জানুয়ারি শহিদ স্মরণ উপলক্ষে শুভেন্দু অধিকারী ছোট আঙারিয়া গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নন্দীগ্রাম নেতাইয়ে গেরুয়া পতাকার দেখা মিললেও ছোট আঙারিয়ায় এখনও আছড়ে পরেনি গেরুয়া ঝড়। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে গড়বেতার ছোট আঙারিয়া গ্রাম।
এদিকে, ৪ জানুয়ারি গড়বেতায় আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতি বছর তিনি এইদিন ছোট আঙারিয়া গ্রামে শহিদ স্মরণ করতে যান। এবারও তিনি সেখানে যাবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে ছোট আঙারিয়ায় শুভেন্দুর আগমন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা ‘বিজেপি–ও ছেড়ে দেবে না’ বলে জানিয়েছেন জেলা সহ সভাপতি মদন রুইদাস। তাঁর কথায়, ‘ছোট আঙারিয়া কারও একার নয় যে শুভেন্দু অধিকারীকে ওরা ঢুকতে দেবে না। তিনি এখন বিজেপি নেতা। শুভেন্দু অধিকারীর সম্মান রক্ষার দায়িত্ব বিজেপি–র।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি গড়বেতার এই ছোট আঙারিয়া গ্রামে বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। চলে গুলিও। ৫ তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তখন আন্দোলনে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীরা। কিন্তু সেই শুভেন্দু এখন দলবদলে বিজেপি–তে। যা এখনও মেনে নিতে পারেননি বক্তার মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘দিদি অনেক কিছু দিয়েছেন। আমি তাঁর সঙ্গে আছি।’ এই পরিস্থিতি ৪ জানুয়ারি, সোমবার ছোট আঙারিয়ায় শুভেন্দুর পা পড়ে কিনা এখন সেটাই দেখার।