নভেম্বর মাসে মদ বিক্রি কার্যত ঝিমিয়ে পড়েছিল। বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্তিনার জয়ে হঠাৎ বেড়ে যায় বিক্রি। ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর তা সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল। রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘা ও মন্দারমনিতে মদ বিক্রি হয়েছে সব হিসাবকে ছাপিয়ে। আবগারি দফতরের আয়ের গ্রাফও ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হয়েছে। দফতরের হিসাব বলছে, গত দুদিনে ৯ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
আবগারি আধিকারিকদের দাবি অনুযায়ি, জেলায় দুদিনে মদ বিক্রির পরিমাণ ৯ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। ২৪ জানুয়ারি চার কোটি এক লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি সেই বিক্রির পরিমাণ আর বেড়েছে। আধিকারিকদের দাবি, মদ বিক্রি থেকে ১২১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আবগারি দফতরের সুপার যতনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, 'গড়পড়তা তিন দিনে মদ বিক্রি হয় ৯ কোটি টাকা। সেটা দু'দিনে হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।'
মেসিদের জয়ে বেড়েছে বিক্রি
তিনি আরও জানান, নভেম্বর মাসে মদ বিক্রি পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কারণ হিসাবে তাঁর যুক্তি, যেহেতু অক্টোবর মাসে পুজোর সময় খরচা হয়েছে, তাই নভেম্বরে লোকে খরচা কমিয়ে দেয়। ফল মদও বিক্রি কমে যায়। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে মেসিদের জয় সেলিব্রেট করতে আচমকা বিক্রি বাড়ে মদের। এক রাতেই ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়। তারপর বিক্রির সূচক ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে থাকে।
আবগারি দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। যা মরসুমের মধ্যে সর্বাধিক বলেই আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, গোটা রাজ্যে অন্য কোথাও বড়দিনে এত টাকা উপার্জন করতে পারেনি আবগারি বিভাগ।
ছাপিয়ে যাবে লক্ষ্য!
জেলা আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে ১০৭ কোটি টাকার মদ বিক্রির টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওই সময়সীমার মধ্যে ৯৩৪ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওই জেলাকে এক হাজার কোটি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে রাজ্য সরকার। জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিকদের দাবি সেই অঙ্ককে ছাপিয়েই যেতে পারে মদ বিক্রি। এই নিয়ে টানা তিনবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মদ বিক্রিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখল।