ইতিমধ্যেই ধমকের জন্য় বেশ নাম করে ফেলেছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এবার আবাসের তালিকা নিয়ে বিডিওকে ধমক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। জনসংযোগে বেরিয়ে মেজাজ হারালেন অসিত। এরপর ফোন করে সোজা ধমক বিডিওকে। পুরো দায় সরকারি কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিলেন অসিত মজুমদার।
আবাসের নামের যে তালিকা বিধায়ক দিয়েছিলেন তার সমীক্ষা হচ্ছে না বলে দাবি বিধায়কের। আসলে স্থানীয়দের একাংশ তাঁর কাছে আবাস যোজনায় নাম না থাকা নিয়ে নালিশ করেছিলেন।
চূঁচুড়া মগরা ব্লকের বিডিওকে ফোন করে তিনি কার্যত ধমক দেন বলে খবর। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। কথপোকথনটা অনেকটা এমনই ছিল।…
আপনি এনকোয়ারি করে রিপোর্টটা দিন না, তারপর আমি ডিএমের সঙ্গে কথা বলছি।
এদিকে ওপারে যিনি ফোনে আছেন তিনি বলেন, দরখাস্ত দেওয়ার সেল আছে। সেখানে তাঁরা দরখাস্ত দিন।
আরে দাদা আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি। প্রমাণ আছে। তার মানে আমি যেটা পাঠালাম সেটার কোনও মূল্য নেই।
কেন মূল্য থাকবে না স্যার….
কিন্তু চিফ মিনিস্টার বলছেন, আমি চিফ মিনিস্টারকে কমপ্লেন করব কিন্তু।
সেটা স্যার আপনি কী করবেন তাতে কী আমি কিছু বলতে পারব। কিন্তু লিস্টের মধ্যে যেটা আছে…
ছাড়ুন আমি ডিএমের সঙ্গে কথা বলছি।
এরপর অপর একজনকে তিনি ফোনে বলেন,
তালিকায় থাকলে আমি নাম দেব কেন! আপনার জন্য কোদালিয়া ১ এ যারা পাওয়ার কথা তারা পেল না.
যারা এনকোয়ারি করেছে তারা ঠিকঠাক করেনি। এই সরকারি লোকগুলো গভর্নমেন্টকে ডোবাচ্ছে। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম বাদ দিয়ে রাম শ্য়াম যদু মধুর নাম করছে, আমি ডিএমকে বলব এদের সাসপেন্ড করা দরকার আগে। বললেন অসিত।
বিধায়কের যুক্তি তিনি যে তালিকা পাঠিয়েছিলেন সেটা কেন গুরুত্ব দেওয়া হল না?
এদিন বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, আপনি ফাজলামো মারছেন! যে ৫০০ বাড়ি আমি দিয়েছি আপনি এনকোয়ারি করে…
তবে পালটা সরকারি আধিকারিকও তাঁকে গোটা প্রক্রিয়াটি বুঝিয়ে দেন।
এদিকে সম্প্রতি অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিকে ধমক দিয়েছিলেন তিনি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছিলেন, এক শিশু দেরি করে স্কুলে যাওয়ায় তাকে বকাঝকা করেছিলেন দিদিমণি। তারপর থেকে আর সেই শিশু স্কুলে যায়নি, খাবারও পায়নি। প্রায় ৫ মাস ওই শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যায়নি।
এই অভিযোগ শোনার পরেই বিধায়ক অসিত মজুমদার কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দিদিমণি স্বর্ণ মুখোপাধ্যায় নিজেই দেরি করে পৌঁছেছেন। তা দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিধায়ক। তিনি দিদিমণিকে কড়া ভাষায় ধমক দেন। আর জানান, যেহেতু তিনি দেরি করে এসেছেন তাই এদিন তিনি হাজিরার খাতায় সই করতে পারবেন না।
আসলে এবারের লোকসভা ভোটে চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তারপর থেকেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে বের হচ্ছেন অসিত।