ধনেখালির গোপীনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি উপপ্রধান খুনের ঘটনায় দলেরই ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল চুঁচুড়া আদালত। এদিন রায় ঘোষণার পর আদালতে অপরাধীদের উদ্দেশে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় এখনো ৫ অভিযুক্ত পলাতক।
২০১৮ সালের ২৩ মে হুগলির ধনেখালির কুমরুল বাজারে খুন হন গোপীনাথপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরা। তাঁকে শাবল ও রড দিয়ে দিয়ে পেটানোর পর ছুরি দিয়ে কোপায় দলের অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ।
রং মিস্ত্রির বেশে করলে লুকিয়েও লাভ হল না, গ্রেফতার ক্যানিং খুনে অভিযুক্ত রফিকুল
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ২৩ মে গোপীনাথপুর পঞ্চায়েত কোন গোষ্ঠীর দখলে থাকবে তা নিয়ে বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। তখনই তাঁর মোটরসাইকেল দাঁড় করায় দলের অন্য গোষ্ঠী। মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাঁকে প্রথমে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা।
এর পর প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন সাঁতরাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। তদন্তে নেমে ভিনরাজ্য থেকে ৮ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।