প্রায় একমাসের মধ্যে খুনের কিনারা করল সিআইডি। মঙ্গলকোটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অসীম দাস খুনের মামলায় গ্রেফতার হল মূলচক্রী। গোটা খুনের পরিকল্পনা করা ধৃতের নাম রফিক শেখ। গুসকরা থেকে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রফিক। এই খুনের ছক সে তৈরি করেছিল।
সিআইডি সূত্রে খবর, জেরায় স্বীকার করেছে খুনের দিন ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল রফিক শেখ। খুনের জন্য আরও একজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। দূর থেকে রফিক গোটা বিষয়টি মনিটরিং করছিল। ‘অপারেশন সাকসেস’ হওয়ার পরেই সে এলাকা ছাড়ে। বেশ কিছুদিন বাইরে গা–ঢাকা দেয়। তারপরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই মঙ্গলকোটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অসীম দাস খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা এলাকায় পরিদর্শন করেন। সিআইডি তদন্তভার হাতে নেওয়ার ঠিক একসপ্তাহ আগেই খুন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অসীম দাস। মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অসীম দাস বিকেলে মোটরবাইকে করে কাসেমবাজারে যান। সেখান থেকে তিনি নিজের বাড়ি লাখুড়িয়াতে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন। তখন পেছন থেকে তাঁকে ‘দাদা’ বলে ডাকে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থামিয়ে পেছনে ঘুরতেই অসীমবাবুকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সিআইডি’র অনুমান, সুপারি কিলার নিয়োগ করে খুন করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। তদন্তভার হাতে নেওয়ার একমাসের মধ্যেই গ্রেফতার করা হল মূলচক্রীকে। রফিককে জেরা করে খুনের উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রফিক আদৌ সুপারি কিলার হিসাবে কাজ করতেন নাকি নেপথ্যে রাজনৈতিক সক্রিয়তা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।