টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বিজেপি বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল–খুনে সুবোধ যাদব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এই নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৪। মণীশ–খুনের তদন্ত শুরুর পরপরই মহম্মদ খুররম খান, গুলাব শেখ নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। আর বুধবার গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা নজির খানকে।
যদিও নিহত বিজেপি নেতার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লর দায়ে করা এফআইআরে টিটাগড়ের পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী, ব্যারাকপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাস, মহম্মদ খুররম খান–সহ মোট ৭ জনের নাম রয়েছে। বুধবার টিটাগড় থানার কাছে যেখানে মণীশকে গুলি করা হয়েছিল সেই জায়গা ঘুরে দেখেন সিআইডি–র গোয়েন্দাদের একটি দল। ঘটনায় গ্রেফতার ব্যবসায়ী খুররমকে নিয়ে তাঁরা তদন্ত চালান। সেখান থেকে তাঁকে ক্যানিংয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানেও রাতভর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। জানা গিয়েছে, ক্যানিং ও বাসন্তী থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করে জেরা করছে সিআইডি।
এদিকে, তদন্তে নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। তাঁরা জানতে পেরেছেন, তিন মাস আগে এই খুনের ছক কষে ফেলেছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে ব্যারাকপুর পুরসভার দক্ষিণ পঞ্চাননতলার নির্মীয়মাণ একটি আবাসনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছিল ৪ যুবক। সেকান থেকে তারা এলাকার রেইকি করা শুরু করে। মঙ্গলবার ওই ফ্ল্যাটটি সিল করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশ স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। খড়দা পুরসভার একটি হার্ডডিস্কও সংগ্রহ করা হয়েছে।