রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর। এদিন তদন্তের স্বার্থে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরে শুভেন্দু অধিকরির বাড়ি শান্তিকুঞ্জে পৌঁছায় সিআইডির তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সিআইডির দল কাঁথি থানা থেকে সরাসরি চলে যায় শুভেন্দু অধিকরির বাড়িতে। যেখানে শুভেন্দুর দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, শান্তিকুঞ্জ লাগোয়া ব্যারাকে সেই জায়গা পরিদর্শন করেন সিআইডির দল।
তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তমলুকের সাংসদ তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে। প্রায় ৪৫ মিনিট তাঁরা সেখানে ছিলেন। অন্য নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। এদিন তদন্তে আসা সিআইডি আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্রের খবর, ওই ব্যারাক ও শুভেন্দুর বাড়ি থেকে তদন্ত শেষে কাঁথি হাসপাতালেও তাঁরা যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুরহস্যের সমাধানের দাবি সম্প্রতি নতুন করে তোলেন তাঁর স্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনায় সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী এই অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁর কাছে ভোটে হেরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন। এই চাপানউতোর চলার মাঝেই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে।
এর আগে গত পরশু, সোমবার সিআইডির একটি তদন্তকারী দল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে শুভব্রত চক্রবর্তীর বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও অন্য পরিজনদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে। তার পর বুধবার ফের তদন্তে হাজির সিআইডি ৷ এবার তারা কাঁথিতে তদন্তের কাজ চালাচ্ছে।