বাঁকুড়া শিশুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ৫ অভিযুক্তকে জেলে গিয়ে জেরা করলেন সিআইডির আধিকারিকরা। গোয়েন্দাদের অনুমান সংগঠিত চক্রের মতো করে কাজ করত পাচারকারীরা। জেরায় তদন্তকারীদের হাতে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে যারা শিশুদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দিত। তালিকা তৈরি করে সেই ব্যক্তিদের খোঁজ শুরু করেছে CID.
গোয়েন্দাসূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ধৃত ৯ জনের মধ্যে ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার মধ্যে রয়েছেন গ্রেফতার হওয়া প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক। তাদের জেরা করে গোয়েন্দারা বেশ কয়েকজন ক্যারিয়ারের নাম পেয়েছেন।
গত ১৮ জুলাই প্রকাশ্যে আসে বাঁকুড়া শিশুপাচারকাণ্ড। বাঁকুড়ার কালাপাথরে ২ শিশুকন্যাকে জোর করে গাড়িতে তোলার সময় ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। শিশুদুটিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাঁকুড়া নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কমলকুমার রাজোরিয়া। এর পরই জানা যায় শিশুদুটিকে বিক্রির চেষ্টা হচ্ছিল। এই ঘটনার তদন্তভার CID-কে দেয় রাজ্য সরকার।
CID-র মানবপাচার বিরোধী শাখার গোয়েন্দারা ঘটনায় ওই ২ শিশুর মা, নবোদয় স্কুলের প্রিন্সিপাল ও এক শিক্ষিকা-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় ৫টি শিশুকে। ধৃতদের দিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করান তদন্তকারীরা। তবে শিশুগুলিকে কোথায় পাঠানো হত তা এখনো অজানা। গোয়েন্দাদের অনুমান শিশুকন্যাদের পতিতাপল্লিতে পাঠাতেন পাচারকারীরা।