কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছিলেন। বাংলার পুলিশকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর তারপরই প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে আজ, বৃহস্পতিবার খুনির স্কেচ এঁকে ফেলেছেন সিআইডির বিশেষজ্ঞ।
এদিকে এই খুনের ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় তখন নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। ঠিক কী বলেছেন ভাইপো? মিঠুন অভিযোগ করেন, ‘আমি ঝালদা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলাম। আমার কাকা তপন কান্দু আগে বিজেপি করতেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে আইসি আমাকে সিভিকের কাজ থেকে সরিয়ে দেন। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, তোর কাকাদেরকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করাতে পারলে তুই তোর চাকরি ফিরে পাবি।’ এই বিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘আইসি’র বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
অন্যদিকে সিআইডির পোর্ট্রেট এক্সপার্ট ‘খুনি’র স্কেচ এঁকে তা প্রকাশ্যে এনেছেন। এমনকী ‘খুনি’–কে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ এই পুরষ্কার ঘোষণা করেছে। তবে স্কেচে যাকে দেখা যাচ্ছে তার সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারেনি এই ঘটনায় ধৃত দীপক। তবে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘খুনির স্কেচ এঁকেছে সিআইডি। যে এই খুনিকে ধরে দিতে পারবে তাকে পুরষ্কৃত করবে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।’
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুরা চার ভাই। বড় ভাই অনিল কান্দু নিখোঁজ। তার বড় ছেলে মিঠুন কান্দু নিহত কাউন্সিলরের মুরগির ব্যবসা দেখেন মিঠুন। নিহত তপন কাঁদু এই মুরগির ব্যবসা, প্রোমোটারি ছাড়াও নানা কাজ করতেন। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর দু’নম্বর ওয়ার্ডের তপন কান্দু, তাঁর স্ত্রী ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু এবং এক নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলর বিজয় কান্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানোর জন্য মিঠুনকে আইসি দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।