এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরও একটু চাপে পড়তে পারেন। কারণ তাঁর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা প্রয়োজনে শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে এই মামলার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই যাবতীয় কেস ডায়েরি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে সিআইডি তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, প্রথমেই সূপর্ণা চক্রবর্তীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি। প্রয়োজনে বয়ান রেকর্ডও করা হতে পারে। পাশাপাশি এই ঘটনায় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে শীঘ্রই পূর্ব মেদিনীপুরে যেতে পারে সিআইডির প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। তাঁর স্বামী শুভব্রত চক্রবর্তী ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান। সূপার্ণা তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, মৃত্যুর ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে ১৩ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন শুভব্রত। রাজ্য পুলিশের কর্মী শুভব্রত তাঁর জীবনের শেষ ৬-৭ বছর শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
সূপর্ণার দাবি, তাঁদের বিবাহিত জীবনে কোনও অশান্তি ছিল না। তাঁদের দু’টি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সুখী ছিলেন শুভব্রত। তবে কর্মসূত্রে কাঁথিতেই থাকতে হত তাঁকে। স্ত্রীর সঙ্গে রোজ ফোনে কথা হত। রোজকার মতো ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবরও সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে সূপর্ণাকে ফোন করেন শুভব্রত। তাঁর কথায় সেই সময় কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না বলেই দাবি সূপর্ণার। কিন্তু এর ঠিক একঘণ্টা পরই সূপর্ণা তাঁর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন যে একটা অঘটন ঘটেছে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী অসুস্থ এবং কাঁথি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুভেন্দু অধিকারীর পারিবারিক বাসভবন শান্তিকুঞ্জের পাশেই পুলিশের একটি বারাক রয়েছে। সেখানেই থাকতেন তিনি। ঘটনাটি ওই বারাকেই ঘটেছিল। শুভব্রতর স্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত পর্যন্ত কাঁথি হাসপাতালেই রাখা হয় তাঁর শুভব্রতকে। শেষে অনেক রাতে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় শুভব্রতকে। পরদিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। সরকারিভাবে দাবি করা হয়, রাজ্য পুলিশের ওই কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। তবে সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পরিবারের মনে। তাই মৃত্যুর কারণের তদন্তের দাবি তুলে অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশের কাছে।