ফের রাজ্য–রাজনীতিতে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠল শীতলকুচি কাণ্ড। এখানেই একুশের নির্বাচনে গুলি চলেছিল। যার জেরে চার গ্রামবাসীকে মারা গিয়েছিলেন। এবার সেই শীতলকুচির জোড়পাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথ পরিদর্শন করলেন সিআইডি’র বিশেষ তদন্তকারী দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করেন তাঁরা। একাধিক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এমনকী পুনর্নির্মাণ পর্যন্ত করা হয়। সেখান থেকে একাধিক তথ্য, নমুনা উঠে আসে। সেগুলি–সহ বিভিন্ন বয়ান রেকর্ড করা হয়।
এই বিষয়ে সাংবদিকদের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেস। সিআইডি’র পক্ষ থেকে সিট তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দলটি ঘটনার প্রতিটি বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’ এদিন গুলি কাণ্ডে ১২৬ নম্বর বুথের সামনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে সেই বয়ান রেকর্ড করা হয়। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে খবর।
উল্লেখ্য, শীতলকুচির ঘটনার পর ভোট মিটতেই গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানকে তলব করে সিআইডি। নির্বাচনের দিন ওই ৬ জওয়ান ভোটকেন্দ্র ও সংলগ্ন জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। তার ভিত্তিতেই তাঁদের তলব করা হয়েছিল। আগামী ২৫ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানদের আলাদাভাবে তলব করা হবে বলে সূত্রের খবর।
ভোট চতুর্থীতেই সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নেয় শীতলকুচি। ওইদিন সকালেই পাঠানটুলিতে আনন্দ বর্মন নামে ২৩ বছরের এক তরুণের মৃত্যু হয়। তার পরেই খবর আসে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী এলাকা জোড়পাটকিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়। রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায় এই ঘটনায়। বিজেপি নেতাদের মুখে উলটে হুঙ্কার শোনা যায়, বাড়াবাড়ি করলে শীতলকুচি করে দেবো।
নির্বাচনী জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, এই ঘটনার তদন্ত করবেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিট তদন্তে নেমে দুই অফিসার–সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জনকে তলব করে। এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানানো হয়। আবেদন নাকচ করে দেয় সিআইডি। বরং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জনকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।