মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, শক্তিপুর সহ একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিলে অশান্তির ঘটনায় এবার তদন্তভার নিল সিআইডি। এই সমস্ত ঘটনার ভিত্তিতে ১৩ টি মামলা দায়ের হয়েছিল। এবার এইসব মামলাগুলির তদন্তের দায়িত্বে নিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। তার ভিত্তিতে সিআইডি এফআইআর করে তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রেজিনগরে রাম নবমীর মিছিলে হামলায় যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, রামনবমীর দিন অশান্তি হতে পারে সে কথা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে বিরোধীরা পালটা তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে আশঙ্কার আঁচ পেতেই রামনবমীতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নির্বাচন কমিশন থানাগুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। তা সত্ত্বেও রামনবমীর দিন হিংসা এড়ানো যায়নি।
মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শক্তিপুর থানা ও বেলডাঙা থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা। শক্তিপুর থানা এলাকায় একদল দুষ্কৃতী রামনবমীর মিছিলে হামলা চালায়। অন্যদিকে, মানিক্যহারে দুষ্কৃতীরা বাড়ির ছাদ থেকে মিছিলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত ঘটনার জেরে ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। তাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। কিন্তু, তাঁকে হাসপাতালে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই তাঁরা হামলার অভিযোগ তোলেন।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের ২ থানা এলাকায় রামনবমী মিছিল ঘিরে অশান্তির পরেই ওসিদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই তাদের সাসপেন্ড করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশ দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। পরে ওই ২ থানায় নতুন ওসি নিয়োগ করে কমিশন। সেক্ষেত্রে বেলডাঙা থানার ওসি হয়েছেন শমসের আলি। তিনি আগে বীরভূমের কোর্ট ইন্সপেক্টর পদে ছিলেন।
অন্যদিকে, শক্তিপুর থানার নতুন ওসি হয়েছেন বিশ্বজিৎ হালদার। তিনি আগে মুর্শিদাবাদ থানায় সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শনিবার থেকে এই দুজন দায়িত্ব পালন করছেন।