উত্তরবঙ্গ সফরে এসে সোমবার রাজ্যবাসীকে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এদিন দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক সেরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি–কে জেতানোর বার্তা দেন তিনি। একইসঙ্গে বহুদিন পর রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ প্রসঙ্গ তুললেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘সবাই এই আইনের সুবিধা পাবেন। পেতে বাধ্য। এখন বিভিন্ন আইনকানুন তৈরির কাজ চলছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে সাময়িকভাবে তা থমকে রয়েছে। করোনা মিটলেই নাগরিকত্ব আইনের সুবিধা সকলে পাবেন।’
রেল সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত উত্তরবঙ্গবাসী। এ নিয়ে নাড্ডার কাছে আবেদনও জানানো হয়। এদিন তিনি জানান, তিনি এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রী পীযূশ গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি অস্ত্রোপচারের কারণে আপাতত তিনি ছুটিতে আছেন। তবে বিজয়া দশমীর পর উত্তরবঙ্গের রেল সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার ব্যাপারে পীযূশ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করতে এদিন সাংসদদের নির্দেশ দেন নাড্ডা। পাশাপাশি গোর্খা সম্প্রদায়ের ১১টি জনজাতির স্বীকৃতি এবং গোর্খাল্যান্ড নিয়ে রাজনৈতিক সমাধানের যে দুটো দাবি রয়েছে সেগুলি শীঘ্রই পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন জে পি নাড্ডা।
এদিন বিজেপি–র কেন্দ্রীয় নেতা জানান, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজে ১ লক্ষ কোটি টাকা শুধুমাত্র কৃষকদের উন্নতি এবং হিমঘরের মতো কৃষিপণ্য মজুত করার পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য রাখা হয়েছে। বৈঠকে নাড্ডার কাছে কর্মকর্তারা অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পণ্য আসায় এই রাজ্যের হস্তশিল্পের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে।’ সেই সমস্যার সমাধানে নাড্ডা ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটিও আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের মধ্যে আসবে। বাংলায় তৈরি পণ্য সারা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।’
এদিন বাংলার বিজেপি সাংসদের রাজ্যে যা যা স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য আছে তার তালিকা তৈরি করতে বলেছেন জে পি নাড্ডা। তাঁর আশ্বাস, কেন্দ্রের তরফ থেকে সে সব পণ্যের বিশ্বমানের ব্র্যান্ডিং করানো হবে। নাড্ডার দাবি, নতুন শ্রম আইনে চা–বাগান শ্রমিকরা লাভবান হবেন। তাঁরা তাঁদের শ্রমের সঠিক মূল্য পাবেন।