দুদিন আগেই হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ফের আরও এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। মেয়ের জন্মদিনে নারকেল পাড়তে গিয়ে মৃত্যু হল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে মাহাতা গ্রামে। জানা গিয়েছে, মেয়ের জন্মদিনে পায়েস রান্না করে খাওয়াবেন ভেবেছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার চন্দন মণ্ডল। সেজন্য গত রবিবার আঁকশি দিয়ে নারকেল পাড়তে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই আঁকশি জড়িয়ে তার ছিঁড়ে যায়। সেই তার চন্দনের গায়ে পড়ে। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। চন্দনকে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তরতাজা যুবক এভাবে চলে যাওয়ায় কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।
এর আগে সম্প্রতি হরিদেবপুরে এক স্কুল পড়ুয়া জমা জলের মধ্য দিয়ে যেতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। রাস্তার ধারে থাকা লাইট পোস্টে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে সে। ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পর কলকাতা পুরনিগমের ভূমিকা যেমন প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে, তেমনি প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে কলকাতায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসির ভূমিকা নিয়েও। এই রকম একটা, দুটো ঘটনা নয়, সাম্প্রতিককালে এভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রচুর ঘটছে। স্বভাবতই প্রশাসনের এই বিষয়ে ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।