বাড়ির অদূরেই মিলল সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ। আজ, বৃহস্পতিবার সাতসকালে বাড়ির পাশের আমবাগান থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই খুনের অভিযোগ তুলেছে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের সদস্যরা। মালদার চাঁচলের গোপালপুরে এখন এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মঞ্জির ঔরঙ্গজেব।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে এই বাড়িতে এসেছিলেন এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি মঞ্জিরকে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। তারপর বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি মঞ্জির ঔরঙ্গজেব (২৫)। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
তাহলে কী নেপথ্যে অন্য কাহিনী? সূত্রের খবর, কাজের সুবাদে এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে পরিচয় হয় মঞ্জিরের। সেই পরিচয় প্রেমের রূপ নেয়। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার বিবাহিত। তারপরেও এই সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই মহিলা মঞ্জিরকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। মঞ্জির তাতে অরাজি ছিল না। বরং আগের সম্পর্ক শেষ করেই তাঁর কাছে আসতে বলেন মঞ্জির। এই কথাটি এবং সম্পর্কটি জানতে পারেন মহিলার স্বামী। তারপরই অশান্তি শুরু হয়। তখন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার মঞ্জিরের বাড়িতে চলে আসে। আর তাঁর উপর চাপ দিতে থাকেন। যদিও পরে ফিরে যায়।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মঞ্জির ঔরঙ্গজেব (২৫)। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে চাঁচল থানার পুলিশ। তবে সত্যিই যদি খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে, তবে এক্ষেত্রেও এই ঘটনা নৃশংসতা ছাড়াবে।