২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলে দলে নেতা-কর্মীরা কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন আবার কেই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে। ২০২১ সালের পরে অনেক নেতা-কর্মীই বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটান। তবে এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরবঙ্গের বানারহাটায় কার্যত ‘উলটপূরাণ’। দাবি করা হল জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটায় সিপিএম-এর এক পদযাত্রায় শতাধিক কর্মীসমর্থক বিজেপি, তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম-এর মিছিলে মা মেলান। যদিও তৃণমূল এই ‘দলবদলে’র দাবি মানতে নারাজ।
ঘটনা প্রসঙ্গে অজিত রায় নামক এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তিনি আগে বিজেপি করতেন। তবে তাঁর সঙ্গে রবিবার ৩০০ থেকে ৪০০ জন সিপিএমে যোগ দিয়েছেন। এদিকে একই দাবি করতে শোনা যায় মানিক অধিকারী নামক অক ব্যক্তিকে। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূলে শুধুই দুর্নীতি’। এই আবহে তিনি সিপিএমকে সমর্থন জানানোর বার্তা দেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সিপিএম নেতা বিরাজ সরকার জানান, সাঁকোয়াঝোড়া ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় পদযাত্রা চলাকালীন শতাধিক তৃণমূল, বিজেপি কর্মী আমাদের পতাকা হাতে নিতে রাস্তায় নেমে আসেন। তিনি জানান, মূলত দুর্নীতি রোধ করতে, সারের কালোবাজারি রুখতে এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্যের দাবি আদায় করার লক্ষ্যেই এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূল বিজেপি হাত মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে।’ উল্লেখ্য, সিপিএম-এর অভিযোগ রয়েছে সাঁকোয়াঝোড়ার তৃণমূলের গ্রামপ্রধানের বিরুদ্ধে। এদিকে সেই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবার বামফ্রন্টের।
অপরদিকে এই ‘দলবদলের’ দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মানসরঞ্জন ঠাকুর বলেন, ‘এসব সস্তার রাজনীতি করে লাভ নেই। এই মুহূর্তে আমাদের সরকার গ্রামে গ্রামে যে উন্নয়ন করেছে, তাতে মানুষ এমনিই খুশি।’ তাঁর দাবি, তিনি স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এই ধরনের দলবদলের কোনও ঘটনা ঘটেনি সেখানে।