রবিবার তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল জামুড়িয়া। এবার ঘসফুল শিবিরের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার মেজিয়াতে। সোমবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায় বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে যুব তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত ৯টা নাগাদ। স্থানীয় রেশন ডিলারের বাড়িতে দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। উল্লেখ্য, সেই রেশন ডিলারের দুই ছেলে যুব তৃণমূলের সদস্য। এই কারণেই নাকি হামলা চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। এই হামলা ঠেকাতে যুব তৃণমূল কর্মীরা এগিয়ে এলে বাঁধে সংঘর্ষ। এতে দুই পক্ষের অনেকেই জখম হন।
এরপরই যুব তৃণমূল কর্মীরা দাবি তোলেন, অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে। দুই জনের গ্রেফতারি চেয়ে রাত ১১টা নাগাদ বাঁকুড়ার মেজিয়ায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। পরবর্তী পুলিশ তাঁধের বুঝিয়ে অবরোধ সরান।
যুব তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, মেজিয়া এলাকায় তাদের সংগঠন শক্তিশালী। এই কারণে সিন্ডিকেট রাজ ধ্বংস হওয়ার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তাই যুব তৃণমূলকে বাধা দিতেই এই ভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এদিকে এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বা সিন্ডিকেট রাজের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।