দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেলকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়ালেন বন্দিরা। সেই সঙ্গে কারাগার চত্বরে ভাঙচুরও চালালেন। ঘটনার জেরে বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারের জেলারকে ছুটিতে পাঠাল প্রশাসন।
বুধবার রাজ্য কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘জেলা পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বন্দিদের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। জেলার ও সুপারিন্টেন্ডেন্টকে তদন্ত চলাকালীন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।’
সোমবার বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারের কয়েকশো বন্দি লাঠি ও লোহার রড নিয়ে জেলকর্মীদের উপরে চড়াও হন। সংরক্ষণাগারের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং রুম, রান্নাঘর ও জেল হাসপাতালের কিছু অংশে ভাঙচুর চালান বন্দিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারের এক কর্মী জানিয়েছেন, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করায় এক বন্দিকে জেলকর্মীরা মারধর করার পরেই জেল চত্বরে অশান্তি শুরু হয়।
তবে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বন্দিদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, যা পরে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্রোহের নাম দেওয়া হয়।
বুধবার কারামন্ত্রী বলেন, সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে।
সোমবারের ঘটনার পরে রাতে সংরক্ষণাগারের কর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল সরেজমিনে ঘুরে দেখেন কারামন্ত্রী এবং পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁর কাছে তোলা আদায়-সহ কারাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিবিধ দুর্নীতির অভিযোগ জানান বন্দিরা।
জেলের এক শীর্ষ স্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন, বিশেষ করে জেল সুপার নবীন কুজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সংরক্ষণাগারের আবাসিকরা।
এ দিকে, সোমবারের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অতিরিক্ত জেল সুপার শ্যামল চক্রবর্তী। চিকিৎসার জন্য তাঁকে সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।