বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > TMC-Congress: পার্টি অফিস কার?‌ দখল করতে গিয়ে খড়গপুরে তৃণমূল–কংগ্রেসের মধ্যে ধুন্ধুমার কাণ্ড

TMC-Congress: পার্টি অফিস কার?‌ দখল করতে গিয়ে খড়গপুরে তৃণমূল–কংগ্রেসের মধ্যে ধুন্ধুমার কাণ্ড

তৃণমূল কংগ্রেস–কংগ্রেসের মধ্যে সংঘাত।

পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন সমিতা দাস। এই বছরের শুরুতে পুরসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তখন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় সমিতা দাসের হাত ধরে রাতারাতি কংগ্রেসের হয়ে যায়।

এ যেন এক অবাক করা কাণ্ড!‌ পার্টি অফিসে তৃণমূল নেত্রীর ছবি রয়েছে। এমনকী রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাণ্ডা। অথচ সেই অফিসেই কাজ করছেন কংগ্রেস নেত্রী। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা দখল নিতে যায় ওই পার্টি অফিসের। আর তাতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল খড়গপুরে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ এসে বের করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদেরই। দু’দলের হাতাহাতিতে আপাতত তালা পড়েছে পার্টি অফিসে বলে খবর। কংগ্রেসের যে নেত্রীকে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সেই তাঁর‌ই দলীয় কার্যালয় দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল।

ঠিক কী ঘটেছে খড়গপুরে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, পার্টি অফিস কার? এই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে খড়গপুরে। খড়গপুর টাউনের ঝাপেটাপুরে এই পার্টি অফিস ঘিরেই সংঘাতের সূত্রপাত। যার জল গড়ায় থানা পর্যন্ত। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা পার্টি অফিসে এলে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় কংগ্রেস নেত্রী। তখন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় পুলিশের। অবশেষে তাঁদের পার্টি অফিস থেকে বের করে দেয় পুলিশ। আর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ খড়গপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাপেটাপুর এলাকায় পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন সমিতা দাস। এই বছরের শুরুতে পুরসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তখন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় সমিতা দাসের হাত ধরে রাতারাতি কংগ্রেসের হয়ে যায়। এখানেই আপত্তি শাসকদলের সদস্যদের। যদিও এই সমিতা দাসকে ফিরে পেতে তৃণমূল কংগ্রেস আহ্বান জানিয়ে রেখেছে। আজ, মঙ্গলবার সকালে এই পার্টি অফিস দখল করতে আসে ৫০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তখন পার্টি অফিসের দরজা বন্ধ করে পুলিশে খবর দেন সমিতা দাস।

কী বলছেন সমিতা দাস?‌ এই পার্টি অফিসের বাইরে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার লাগানো রয়েছে। আর দেওয়ালে আবছা দেখা যাচ্ছে নীল কালিতে লেখা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম। অফিসের চাল থেকে শুরু করে গোটা চত্বরে ঝুলছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাণ্ডা। ঘরের ভিতরের দেওয়ালেও রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর ছবি। তার সামনে বসেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেত্রী বলেন, ‘‌এই পার্টি অফিস কংগ্রেসের। আমার কংগ্রেসের অফিস। তৃণমূল দখল করেছিল। আমি পুলিশের সাহায্যে উদ্ধার করি।’‌

বন্ধ করুন