কাছেই গজলডোবা। বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল চারদিকে। বেশ নির্জন জায়গাটি। তিস্তার ক্যানেল বয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের বুক চিরে। আর তারই দুই পাড়ে দেখা মিলল দুই দাঁতালের। একেবারে যুদ্ধং দেহি ভাব। এই মুহূর্তই মোবাইলবন্দি করেছেন গজলডোবাগামী পর্যটকরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে জঙ্গলের অন্দরমহল বলছে, দুই দাঁতালের মধ্যে নানা কারণে সংঘাত হতে পারে। সঙ্গিনী দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে দুই দাঁতালের মধ্যে মাঝেমধ্যে তুলকালাম বাঁধে জঙ্গলে। সেই রুদ্ররূপের সামনে দাঁড়ায় কার সাধ্যি। এমনকী পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায় যে এই সংঘর্ষে হাতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এছাড়াও হাতিদের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইও রয়েছে। এলাকার ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়েও সংঘাত বাধে। তবে এদিন যেভাবে দুটি হাতি একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল তার পেছনের কারণ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
মনে করা হচ্ছে একটি দাঁতাল অপর দাঁতালের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করছিল। তখনই তাকে সতর্ক করে অপর দাঁতালটি। শুঁড় উচিয়ে এক দাঁতাল যেন অপর দাঁতালকে হুঁশিয়ারি দেয়, দূর হঠো! বড় কোনও আঘাত এড়াতে গোড়াতেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হাতিকে সতর্ক করেছে অপর হাতি। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে অপর দলের কোনও মহিলা হাতির প্রেমে কি অপর দাঁতাল মজেছে? সেটাও ভেবে দেখছেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরে যায় দুই হাতিই।