একেই বলে সম্পর্কের বিড়াম্বনা। কিন্তু মৃত্যুর পরেও যে এমন টানাপোড়েন থেকে যাবে তা বোধহয় নিজেও ভাবেননি হরেন হালদার। ৬০ বছর বয়সেই মারা গিয়েছেন তিনি। কৃষ্ণনগরের কোতায়ালি থানার অন্তর্গত চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পেশায় মাছ বিক্রেতা। এদিকে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তার জেরে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আর তারপর থেকেই ঘটনা মোড় নেয় অন্য়দিকে।
মর্গে পড়ে থাকল স্বামীর দেহ। সেই দেহের দাবিদার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দুই স্ত্রী। কোন স্ত্রী স্বামীর দেহ নেবেন সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এদিন। স্থানীয় সূত্রে খবর. সব মিলিয়ে চারটি বিয়ে করেছিলেন হরেন হালদার। আগেই দুই স্ত্রী মারা গিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর দুই স্ত্রী জীবিত রয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন কে পাবে স্বামীর দেহ?
পুলিশও এনিয়ে ধন্দে পড়ে। এদিকে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কোনও সন্তান নেই। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দাবি, হরেন হালদার আগের দুজন স্ত্রীকে মেরে ফেলেছিলেন। গত সাত বছর ধরে তিনি তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। এদিকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে পুলিশের কাছে দেহের দাবি করেছেন তিনিও। কিন্তু কার হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে ? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। কোনও ঝুঁকি নেয়নি পুলিশ। পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কারোর হাতে দেহ দেওয়া হয়নি। দেহ রয়েছে মর্গেই।